সাগর দেব নাথ,বিশেষ প্রতিনিধি :
বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে নেওয়া ক্ষুদ্রঋণের টাকা দিতে না পারায় আসমা বেগম আত্মহত্যা করেছেন বলে তার পরিবার দাবি করেছে। আসমা বেগম ওই গ্রামের রিকশাচালক স্বপন মিয়ার স্ত্রী।
আসমার বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, তারা দুই ভাই, এক বোন। বাবা রিকশা চালান। বাবার সীমিত আয়ে পরিবারের খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। এক পর্যায়ে তাদের তার মা প্রত্যয়, আশা ও ব্রাক এনজিও থেকে ঋণ নেন। ওই ঋণের জন্য প্রতি সোমবার তাকে ২৫০০ টাকা ও প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হচ্ছিল। সোমবার সকালে কিস্তি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রোববার রাত পর্যন্ত চেষ্টা করেও কিস্তির টাকা জোগাড় করতে পারেননি মা। এ কারণে সোমবার ভোরে সবার অজান্তে রান্নাঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল হক বলেন, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।