নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
জানা গেছে, ২০১৫ সালে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম তিমির পুর গ্রামের আব্দুল হক তালুকদারের ২য় ছেলে মোহাম্মদ দিলু তালুকদারের সাথে একই উপজেলার ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোলডুবা গ্রামের মৃত আতর আলীর মেয়ে তাসলিমার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। ইতালি প্রবাসী দিলু তালুকদার বিয়ের পর স্ত্রীকে রেখে ফের ইতালি আসেন।
এরপর ২০১৬ সালে স্ত্রী তাসলিমাকে ইতালি নিয়ে আসার জন্য কাজ শুরু করে । দীর্ঘদিন তাদের সময় ভালোভাবেই চলছিল।কিন্ত হঠাৎ সে চলে যায় তার বাবার বাড়ি। তাছলিমা তার পিত্রালয় থেকে প্রায়শই দিলুর নিকট বিভিন্ন অজুহাতে টাকা মোবাইল ফোন সহ অনেক কিছু দাবী করে, এতে দিলু মিয়ার সন্ধেহ বাড়ে এক পর্যায়ে দিলু মিয়া বুঝতে পারে তার স্ত্রী পরকিয়ায় আসক্ত হয়েছেন। হঠাৎ শুরু হয় স্ত্রীর একাধিক পরকীয়া। তাসলিমা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এমন ঘটনায় দিলু ও তাসলিমার মধ্যে কলহ সৃষ্টি হতে থাকে।
তাদের মাঝে দূরত্ব বাড়তে থাকে। তাসলিমা বিরুদ্ধে একাধিক পরকীয়ার অভিযোগ ওঠে।
সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে প্রবাসী দিলুর ভাই তফিল মিয়া গৃহবধূর বিরুদ্ধে একাধিক পরকীয়া, ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ তুলে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে ইতালি প্রবাসী ভুক্তভোগী দিলু তালুকদার জানান, স্ত্রী তাসলিমা তিন-চার ছেলের সাথে পরকীয়ায় আসক্ত হয়। সে আমার সাথে প্রতারণা করে অন্য পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা ও পরকীয়া সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া আমাকে তালাক না দিয়ে আরেকটা বিয়ে করেছে।
তিনি জানান, জমি কেনার কথা বলে আমার কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নিয়ে তার ভাই সোহেল মিয়ার যোগসাজশে এসব কুকর্ম করেছে।
প্রবাসী দিলুর ভাই সৌদি প্রবাসী তফিল মিয়া জানান, তাসলিমার পরকীয়া প্রেমিক দের যোগসাজসে বহু অপকর্ম লুকিয়ে রাখতে যৌতুকের মামলা সহ কয়েকটি মামলা দায়ের করে ইতালি প্রবাসী আমার ভাই দিলু তালুকদারের উপর যাতে করে সে প্রবাস থেকে বাংলাদেশে আসতে না পারে। সে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি শুরু করে। তিনি জানান, ইতালি থাকা অবস্থায় ভাইয়ের এলাকায় সম্পত্তি কেনার কথা বলে তাসলিমা ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ছাড়া বিভিন্নভাবে আমার ভাই দিলু তালুকদারের কাছ থেকে তাসলিমা লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। আমি প্রশাসনের কাছে সুবিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্তদের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।