মোঃ নুরুজ্জামান শেখ (টঙ্গী গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে ভাঙচুরসহ সাংবাদিকদের হামলা, মারধর ও ক্যামেরা ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে গাজীপুর জেলা রিপোটার্স ক্লাব ।
গাজীপুরের ডিসি অফিসের সামনে গাজীপুর জেলা রিপোর্টাস ক্লাবের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা সময় এই কর্মসূচি পালিত হয়।
গাজীপুর জেলা রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমএ ফরিদের সঞ্চালনা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাহিম সরকার, আরো উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ মোর্শেদ আলম লিটন , গাজীপুর জেলা রিপোটার্স ক্লাবের কার্যকারী সভাপতি মোঃ মোস্তাকিম খানের সভাপতিত্বে, গাজীপুর জেলা রিপোটার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম মানিক ,জেলা রিপোটার্স ক্লাবের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও সুচিত্র প্রতিকার সম্পাদক কাজী মুকুল ,গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ , পুবাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ খসরু মৃধা , আনন্দ টিভির প্রতিনিধি মোঃ আব্বাস উদ্দিন, বাংলাদেশ সাংবাদিকদের জোটের গাজীপুর জেলা সহ-সভাপতি পলাশ সরকার ,বাংলাদেশ সাংবাদিকদের জোটের গাজীপুর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান আশিক, সিটিজি ক্রাইম এর প্রতিনিধি মনসুর শেখ,দৈনিক মতপ্রকাশ পত্রিকার টঙ্গী গাজীপুর প্রতিনিধি মোঃ নুরুজ্জামান শেখ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জে টিভির ষ্টাফ রিপোর্টার মোস্তাকিন খান তার বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনি মানবতার মা আপনার নিকট আমাদের দাবী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেসক্লাব ভাঙচুরসহ সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
হামলাকারীরা বেছে বেছে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তবুদ্ধির চর্চাকেন্দ্রগুলো, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোতে হামলা চালিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এই ধর্মান্ধগোষ্ঠী সরকারি স্থাপনায়ও হামলা চালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এরা দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে চায়।”
এদের প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।
রাজবাড়ী মাঠের সামনে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম সমর্থকরা। শুক্রবার, শনিবার ও রোববার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চট্টগ্রামে চারজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অন্তত সাতজন নিহত হন।
এই সময় হামলাকারীরা তিন দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। তারা প্রেসক্লাবে ভাংচুর ও সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করে, শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ি মন্দির, দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, পৌরসভা কার্যালয়, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদকের কার্যালয় ও বাড়ি, জেলা পরিষদ কার্যালয়, আশুগঞ্জ টোল প্লাজা, খাটিহাতা বিশ্বরোড হাইওয়ে থানাসহ অসংখ্য স্থানে হামলা চালায়।